আজ ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সংগৃহীত ছবি
সংগৃহীত ছবি

পুকুরে ডুবে শিশু মৃত্যুর দায় কার? প্রতিরোধে কী করা উচিত?


অনলাইন ডেস্কঃ পুকুরে ডুবে শিশু মৃত্যুর ঘটনা কমছে না। বাংলাদেশে প্রতিবছর হাজার হাজার শিশু পুকুর বা জলাশয়ে ডুবে মরছে। সম্প্রতি বোয়ালখালীতে পুকুরে ডুবে মেহেরাম নামে ৪ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর আগে মীরসরাই, ফটিকছড়ি, চন্দনাইশ, রাঙ্গুনিয়া, লোহাগাড়া, পটিয়াসহ বেশ কয়েকটি স্থানে পুকুরে ডুবে শিশুর অকালমৃত্যু হয়েছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর ৩ লাখ ৬০ হাজার মানুষ পানিতে ডুবে মারা যায়, যার ৯০ শতাংশ ঘটে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে। তথ্যানুযায়ী, পানিতে ডুবে সবচেয়ে বেশি মারা যায় ১ থেকে ৪ বছরের শিশুরা এবং দ্বিতীয় ঝুঁকিপূর্ণ বয়স হলো ৫ থেকে ৯ বছর। এ ধরনের মৃত্যু মেয়ে শিশুদের তুলনায় ছেলে শিশুদের ক্ষেত্রে বেশি ঘটে।

সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ ও দুঃখজনক বিষয় হলো এমন মৃত্যু প্রতিরোধে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ কিংবা কর্মসূচি নেওয়া হয় না।

আরও পড়ুন চন্দনাইশে খালার বাড়িতে বেড়াতে আসা শিশু পুকুরে ডুবে মৃত্যু

পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যুর কারণ:
অভিভাবক ও বয়ষ্কদের তত্ত্বাবধানের অভাব; অতি দরিদ্রতা; পুকুর-জলাধারে নিরাপত্তা বেষ্টনীর অভাব; শিশুদের সাঁতার জানা না থাকা ইত্যাদি।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধে কয়েকটি প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে-

জলাশয়ে বেষ্টনী; সাঁতার শিখানো; পানি থেকে শিশুদেরকে নিরাপদে উদ্ধারে প্রশিক্ষণ।

এছাড়া এ ধরনের মৃত্য কমাতে গণ সচেতনতা বৃদ্ধি, পরিবার ও সামাজিক শিক্ষা এবং জাতীয় নিরাপত্তা নীতি প্রণয়ন করা।

তথ্যসূত্র: সংগৃহীত


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরও খবর